ডাক্তারদের জন্য ঔষধের স্যাম্পল বিক্রি করা কেমন?

এই আলোচনা বুঝার জন্য আমাদেরকে কয়েকটা বিষয় জানতে হবে

ক। স্যাম্পল কি? বর্তমান স্যাম্পলের যৌক্তিকতা কতটুকু এবং এর ক্ষতি কি কি?

খ। ডাক্তারদেরকে স্যাম্পল দেওয়া ও তাদের জন্য নেওয়া জায়েজ আছে কিনা?

গ। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে স্যাম্পল ঔষধ ডাক্তারদের জন্য বিক্রি করা জায়েজ আছে নাকি নেই?

ঘ। এই ঔষধগুলো ডাক্তারদের জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত হলে বা দরকার না হলে কোনো কোনো কাজে লাগালে সবচেয়ে উত্তম কাজ হবে?

চ। যদি আগে বিক্রি করা হয়ে থাকে, তবে বর্তমানে করণীয় কী?

প্রথম আলোচনাঃ

ঔষধের স্যাম্পল বলে একটা বিষয় আমাদের ঔষধ শিল্পের উৎপাদন ও বিপনন ব্যাবস্থায় বৈধভাবে স্থান করে আছে অনেক দিন ধরে।

আমার জানা ভুল হতে পারে, যতদূর জানি এই স্যাম্পলের ওষুধ বিনা ট্যাক্সে বাজারে আসে, অর্থাৎ টাক্স ফ্রি।

স্যাম্পলের ঔষধ ডাক্তারদের মাঝে বিলি করার জন্য প্রায় সকল ঔষধ কোম্পানিরই একটি করে ভালো বেতন-ভাতাভুক্ত দক্ষ্ ও উচ্চশিক্ষিত MPO বাহিনী আছে যাদেরকে স্থানীয় ভাষায় রিপ্রেজেন্টিটিভ বলা হয়।

এখন প্রশ্ন-ডাক্তার সাহেব যদি এই স্যাম্পল না খাবেন তাহলে এই স্যাম্পল দিয়ে কি করবেন? কেইবা খাবে?

(১) প্রথম উত্তর রোগীকে খাওয়ায়ে দেখবেন ঔষধের গুণাগুণ ঠিক আছে কিনা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেমন?

আজকের দিনে বিশ্বের কোথাও এই সুযোগ নেই। কারণ এই আধুনিক বিজ্ঞান এর যুগে যে কোন একটি ঔষধ বাজারজাত করার পূর্বে ল্যাবরেটরিতে, প্রাণিদেহে এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে মানবদেহেও বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর বাজারে আসে। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ও জাতীয় মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক ঔষধের গুণাগুণ, কার্য্যকারিতা,ও নিরাপদ কিনা সে বিষয়ে সার্টিফিকেট দিয়ে বাজারজাত করতে হয়।

আর সাধারনত কোন একটি ঔষধের এক সেট স্যাম্পলে এত পর্যাপ্ত পরিমাণ ঔষধ থাকে না যা দিয়ে কোন একটি নির্দিষ্ট ঔষধ একজন রোগীর কোন একটি নির্দিষ্ট রোগের ওপর পরীক্ষা করা যায়।

একটা বিশেষ রোগের শ্রেণিভুক্ত রোগীর ওপর পরীক্ষা তো অনেক পরের কথা।

প্রচলিত আইনে স্যাম্পল ঔষধ বাজারে বিক্রয় নিষেধ। ধরা পড়লে শাস্তি, জরিমানা।

(২) তাহলে দ্বিতীয় উত্তর, ওই ঔষধ ডাক্তারকে নিজেকেই খেয়ে পরীক্ষা করে দেখতে হবে, হোক না তা যত কঠিন রোগেরই ঔষধ। সে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যত কঠিনই হোক না কেন তা ডাক্তার সাহেবকেই খেয়ে দেখতে হবে।

তা না করা হলে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পের উৎপাদন ও বিপনন ব্যাবস্থা থেকে স্যাম্পল নামক এই ব্যবস্থাটি চিরতরে বিলুপ্ত করতে হবে।

স্যাম্পল ঔষধের কিছু ক্ষতিকর দিক-

১. যেহেতু ট্যাক্স ফ্রি অথচ শেষমেশ বাজারেই বিক্রি হয়, সরকার কিছু রাজস্ব হারায়।

২. স্যাম্পলের নামে কারখানার বাইরে এনে ট্যক্স ফাঁকি দিয়ে বিক্রির একটা সুযোগ থেকেই যায়।

৩. স্যাম্পলগুলো অনেক সময় পড়ে থেকে নষ্ট হয়, সুতরাং অপচয়।

৪. প্রায়শই স্যাম্পলসমূহ কাটা কাটা স্টিপে থাকে বিধায় মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও বোঝা যায় না। অনেক সময় বস্তা ভরতে যে সময় লাগে সেই সময়ে অনেক স্যাম্পল ঔষধেরই মেয়াদ থাকে না। অথচ অজান্তে বা জ্ঞানত বাজারে বিক্রি হয়ে যায়।

৫. অনেকে হয়তো মনে করে থাকবেন যে ডাক্তারেরা ঔষধের স্যাম্পল পেয়ে থাকেন বিধায় ডাক্তারদের নিজের এবং পারিবারিক প্রয়োজনে ঔষধ কেনা লাগে লাগে না। বিষয়টি মোটেও ঠিক না। স্যাম্পল হিসাবে প্রাপ্ত ঔষধ কখনোই ডাক্তারদের নিজের বা পারিবারিক প্রয়োজনে তেমন কোন কাজে আসে না। আর এই স্যাম্পল হিসাবে প্রাপ্ত ঔষধের জন্য ডাক্তাদের অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কারণ যে মুহূর্তে যে ঔষধ প্রয়োজন সেটা সেই মুহূর্তে খুঁজে পাওয়া যায় না বা স্যাম্পলের বস্তা ঘেঁটে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর খাকলেও পরিমানে পর্যাপ্ত হয় না যা দিয়ে কাজ চলতে পারে। সুতরাং আল্টিমেটলি ঔষধ কেনাই লাগে। আর বিড়ম্বনা এ কারণে যে, স্যাম্পল হিসাবে প্রাপ্ত মনে করে অনেক সময় কিছু কিছু বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ডাক্তারের নিজেও খাওয়ার জন্য কেনা ঔষধেও ভাগ বসান। ভাবখানা এমন যে, ‘তোমরা তো এমনি এমনিতেই পাও’।

৬. সামান্য স্যাম্পল বিলির জন্য এত বড় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির ব্যবহার অপচয় এবং লজ্জাকর।

৭. বর্তমান বাজারে বেশ কিছু ভালো ভালো ঔষধ কোম্পানি আছে যাদের মার্কেট পলিসিতে স্যাম্পল নামক কোন বিষয় নেই।

৮. আবার এমন ডাক্তারের সংখ্যাও অনেক যারা স্যাম্পল নিতে অস্বীকার করেন।

৯. স্যাম্পল ঔষধ প্রস্তুত, প্যাকিং, বিলি- বন্টন ইত্যাদির খরচ ও অপচয়ের বোঝার প্রভাব পড়ে ঔষধের দামের ওপর। দাম বাড়ে।

(পত্রিকা ‘মেডি ভয়েস’ ১৯ মার্চ ২০১৯ সাল সম্পাদকীয় কলাম, ড সুরেশ তুলসান)

দ্বিতীয় আলোচনাঃ

ডাক্তারদেরকে স্যাম্পল দেওয়া এবং তাদের জন্য স্যাম্পল নেওয়া জায়েজ আছে, তবে কিছু শর্ত আছে। নিচের আলোচনায় সেই শর্তগুলো পরিষ্কার ফুটে উঠেছে।

শায়েখ মুহাম্মদ সালেহ মুনাজ্জিদ (হাফি) লিখেছেন,
هذه العينات التي تهديها شركات الأدوية للأطباء لا حرج في قبولها ، مادامت بغرض تجربة المنتَج واختباره ، والتعرف على الجديد من الأدوية ، ما لم يُشترط على الطبيب ترويجها ، أو يُجعل له حافز على اختيارها على غيرها ، أو يدفعه ذلك إلى ترك ما هو أفضل للمريض .
” এসব স্যাম্পল যা ঔষধ কোম্পানি ডাক্তারদেরকে দিয়ে থাকে তা গ্রহণ করতে কোনো সমস্যা নেই, যতক্ষণ এর দ্বারা উৎপাদিত ঔষধটির বিষয় জানা এবং অভিজ্ঞতা লাভ করা উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে।
এবং (যতক্ষণ না এসব শর্ত যুক্ত করা হয় যে,) ঔষধটি প্রচার করতে হবে বা অন্য ঔষধ গ্রহণ না করে তাদের ঔষধ গ্রহণ করলে পুরষ্কারে চুক্তি করা হয়ে থাকে অথবা এবং এই স্যাম্পল গ্রহণের কারণে তাকে রুগীর জন্য উপযুক্ত ঔষধ লিখতে বাধা সৃষ্টি করে থাকে। ”

(ইসলামি কিউঃ ২১৪৭১৩ নং ফাতাওয়া)

ফিলিস্তিনের অনেক বড় একজন আলেমে দীন শায়েখ হিসামুদ্দিন আফফানা(হাফি) তিনি তার লেখাতেও সেই শর্তগুলো উল্লেখ করে জায়েজ বলেছেন এবং দলিল হিসেবে শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া(রাহি)-এর ‘মাজমাউল ফাতাওয়াঃ ২৮/৩৮৬ ‘ উল্লেখ করেছেন। উনি লিখেছেন,

إعطاءُ الأطباء والصيادلة العَيِّنات الدوائية المجانية لا حرج فيه أصلاً، ما دام أن القصد من ذلك، هو تعريف الأطباء والصيادلة على الدواء، وبدون اشتراط تسويقها ووصفها للمرضى. بل أصبح ذلك من العرف العام المنتشر في العمل الطبي. والأصل المقرر عند الفقهاء أن الأصل في المعاملات الإباحة.

#তৃতীয় আলোচনাঃ

এই ঔষধগুলো মূলত ডাক্তারদের জন্য হাদিয়া, তবে তাতে বিক্রি না করার শর্ত আরোপ করা হয়ে থাকে। আর হাদিয়ার ক্ষেত্রে শর্ত যুক্ত করা হলে তা মানা আবশ্যকীয় হয়ে যায়। তবে যাকে হাদিয়া দেওয়া হচ্ছে সে যদি শর্ত বাতিল করতে চায়, তাহলে বাতিল করতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্রীয়গতভাবে কোনো শর্ত করা হলে ব্যক্তিগতভাবে তো বাতিল করা যায় না।

যদি এটা কেবল কোম্পানির শর্ত হতো, তাহলে ডাক্তার একবার বাতিল করলেই তার জন্য সেটা বিক্রিসহ অন্যান্য সব কাজ করা বৈধ হতো।

(রদ্দুল মুহতারঃ ৫/৭১০, ইনসাফঃ, ১৭/৪৪, ইগাসাতুল লাহফানঃ ২/১৬-১৭, শরহুল মুনতাহাঃ ২/৪৩৪)

শায়েখ মুহাম্মদ সালেহ মুনাজ্জিদ (হাফি) লিখেছেন,

أما التصرف في تلك العينات : فللطبيب أن يتصرف فيما يجوز قبوله منها تصرف الملاك في أملاكهم ، فله استعمالها أو إهداؤها أو بيعها لأنها ملكه .
لكن : إذا كانت الشركات تشترط على الطبيب ألا يبيعها ، أو اطرد عرفها بذلك : فالأحوط له أن يراعي شرط الشركة المانحة ، .
وأما إذا لم تشترط الشركة عليه ألا يبيعها ، ولم يكن هناك عرف مضطرد بذلك بين الشركات والأطباء : فللطبيب أن يتصرف في العينة التي تعطى له ، كيفما شاء .

“সেসকল স্যাম্পলে (যে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে) হস্তক্ষেপ করাঃ ডাক্তারদের জন্য জায়েজ আছে যে, তারা যে জিনিস হাদিয়া হিসেবে কবুল করেছে তা তারা তাদের মালিকানা বস্তু হিসেবে খরচ করবে। ব্যবহার করা বা অন্যকে হাদিয়ে দেওয়া অথবা বিক্রি করা সব জায়েজ আছে। কেননা, তারা এখন সে বস্তুটির মালিক।

তবে কোম্পানি যদি ডাক্তারদেরকে বিক্রি না করার শর্তারোপ করে এবং এটা না বললেও জানা আছে যে, বিক্রি করা আইনগত আপরাধ হবে, তবে এক্ষেত্রে সতর্কতা হলো, কোম্পানির প্রদান করা শর্তের প্রতি খেয়াল রাখা। ——

তবে কোম্পানির যদি বিক্রি না করা শর্তারোপ না করে এবং কোম্পানির ও ডাক্তারদের মাঝে অলিখিত ও লিখিত কোনোভাবে এটা নিষিদ্ধ বুঝায় না, তাহলে ডাক্তারদের জন্য হাদিয়া প্রাপ্ত স্যাম্পল যেভাবে খুশি (চাই বিক্রি করুন বা দান করুক) হস্তক্ষেপ করা জায়েজ আছে। ”

(ইসলামি কিউঃ ২১৪৭১৩ নং ফাতাওয়া)

#চতুর্থ আলোচনাঃ

শায়েখ মুহাম্মদ সালেহ মুনাজ্জিদ (হাফি) লিখেছেন,

فيهديها لمرضاه ، أو لغيرهم مجانا ، أو يتبرع بها لبعض الجهات الخيرية

“স্যাম্পলগুলো রুগীকে (চাই গরীব হোক বা ধনী হোক) বা অন্য কাউকে ফ্রিতে অথবা অন্য কোনো কল্যাণকর এজেন্সিকে দিয়ে দেওয়া যেতে পারে৷”

(ইসলামি কিউঃ ২১৪৭১৩ নং ফাতাওয়া)

প্রিয় শায়েখ হিসামুদ্দিন আফফানা (হাফি) লিখেছেন,

الأفضل في رأيي أن تكون الأولوية في الاستفادة من العَيِّنات الدوائية المجانية، للمرضى الفقراء والمحتاجين ويقدمون على غيرهم.
” আমার মতে ফ্রি স্যাম্পলগুলোর ব্যবহারের সর্বোত্তম খাত হলো, গরীর-অসহায় রুগী। অন্যদের তুলনায় তাদেরকে এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।”

#পঞ্চম আলোচনাঃ

শায়েখ হিসামুদ্দিন আফফানা (হাফি) এই ধরণের ঔষধ বিক্রিকে বাতিল বলেছেন। তিনি লিখেছেন,

إذا باع الطبيبُ أو الصيدليُ العَيِّنات الدوائية المجانية، فبيعه باطلٌ شرعاً،

“যদি ডাক্তার অথবা ডিসপেনসারি ফ্রি স্যাম্পল ঔষধ বিক্রি করে, তবে এই লেনদেন বাতিল বলে গণ্য করা হবে।”

তাই আগে যদি কেউ বিক্রি করে লাভ করে থাকে, তবে সেগুলো থেকে প্রাপ্ত টাকা গরীবদেরকে দান-সদকা করে দেওয়া।

তবে কারোর সামার্থ্য না থাকলে শুধু তাওবা করে নিলেই হবে।

#দু’টি সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরঃ

১ যদি কাউকে ফ্রি দেওয়া মতো পাওয়া না যায় এবং বেশিদিন রেখে দিলে নষ্ট হওয়ার ভয় আছে, তাহলে কি তা বিক্রি করা যাবে?

২ আমি যদি আগেই বিক্রি করে টাকা গরীবদের দান করে দিই তাহলে?

উত্তর-১ঃ এমন অবস্থার সম্মুখীন হওয়া প্রায় না এর বরাবর। তবুও যদি কারোর আসলেই এমন অবস্থা হয়, তবে সে বিক্রি করতে পারবে এবং তার প্রয়োজন না হলে টাকা দান করে দিবে আর প্রয়োজন হলে নিজে রাখতে পারবে।
কেননা, ঔষধ ক্রয়-বিক্রয় মূলত হারাম না। তবে বৃহত্তর উপকারের স্বার্থে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। তাই কারোর ক্ষেত্রে যদি সেটা কল্যাণকর না থাকে, তবে সে ভিন্ন আমল করলে পারবে কিন্তু সবাইকে জানান দিয়ে করবে না বা পাবলিসিটি করবে না। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

(এই আলোচনা বুঝার জন্য ইসলামি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি অধ্যা ‘তাকয়িদুল মুবাহ’ ভাল করে পড়তে হবে।)

উত্তর-২ঃ বিক্রি করাটা নিষেধ করা হয়েছে বৃহত্তর কল্যাণের উদ্দেশ্যে। তাই আমাকে চেষ্টা করতে হবে বিক্রি না করা। কেননা, যেসকল বৈধ বিষয় রাষ্ট্র থেকে নিষেধ করা হয়, তা ততক্ষণ পর্যন্ত আমল করা জরুরি, যতক্ষণ তাতে কল্যাণ থাকে এবং পালন না করলে বিশৃঙ্খল সৃষ্টি হওয়ার ভয় থাকে। তাই এভাবে স্যাম্পল বিক্রি করে গরীবদেরকে টাকা দেওয়া মধ্যে বৃহত্তর কল্যাণ নেই।।ক্ষেত্র বিশেষ কারোর ক্ষেত্রে হলে সে ভিন্ন কথা।

এ বিষয় বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন, “যওয়াবিত্বুশ শারয়ীয়া লি ছনায়াতী ওয়াত তিজারতিল আদওয়াতিল বাশারিয়াঃ ২০৬-২১৬ পেজ।

আল্লাহ! আমাদের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করুন। আলোচনা সকলের জন্য কল্যাণকর বানিয়ে দিন।

উত্তর প্রদানে
মুফতি আব্দুর রহমান
উস্তাদ, র‍্যামফিট

 

 

 

 

Shopping Cart